কাকরাইল মসজিদ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা সাদপন্থিদের

তাবলিগ-জামাতের বিবাদমান দ্বন্দ্বে জুবায়েরপন্থিরা পুরো কাকরাইল মসজিদে ১৫ নভেম্বর থেকে অবস্থান নিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন সাদপন্থিরা। এর ফলে কাকরাইল মসজিদ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন তারা।বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাদ অনুসারীরা।

তারা বলেন, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থিরা সারা বছর মাদরাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। কিন্তু হেফাজতপন্থি আলেমদের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জুবায়েরপন্থিরা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাকরাইল মসজিদ স্থায়ীভাবে দখল নেওয়ার ঘোষণা দেওয়াকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা করছি।

এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ ধর্মীয় সংঘাত ও হতাহতের মতো ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মুসল্লি ও তাবলীগের সাথীরা। সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসন দরকার। আলেম-ওলামারা এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে পূর্বের মতো কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ও সারাদেশে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংঘাত হবে না।

এ সময় তিনি তাদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন-

দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহিংসতা এবং পারস্পরিক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ পরিহার করে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; কাকরাইল মার্কাজ সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দিতে হবে; টঙ্গী ইজতেমার বৈষম্য দূর করে এই ইজতেমায় নিজামুদ্দীনের অনুসারীদেরকে প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে দিতে হবে; বিশ্ব ইজতিমার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তাবলিগের বিশ্ব আমির হজরত মাওলানা সা’দ সাহেবের ইজতিমায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে; দেশের সব মসজিদে তাবলিগের শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা উভয়পক্ষের জন্য নিশ্চিত করতে হবে; উভয়পক্ষের জন্য স্থায়ীভাবে মার্কাজ পরিচালনার বন্দোবস্ত করতে হবে; এবং তাবলিগের ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সহিংসতাপূর্ণ প্রোগ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি জিয়া বিন কাসেম, আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতী মু’আজ বিন নূর, বিশিষ্ট লেখক গবেষক ও জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মুহতামিম সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, জাতীয় ইত্তেহাদুল উলামা ও আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতী শফিউল্লাহ মক্কী, মুফতি আরীফুর রহমান আলীফ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গতকাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সবসময়ের জন্যই সাদপন্থিদের রাখতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ (যোবায়েরপন্থি)।