১. নিষ্ফল অপেক্ষা
কারো আসার কথা নেই; তবু
কার আসার অপেক্ষায় আমি
তীর্থের কাক হয়ে বসে থাকি বুঝি না
যে তুমি একদিন
হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে বলেছিলে-
‘আমি তোমার, শুধুই তোমার’
সেই তুমিই যখন আমার হলে না
তখন কে আর আসবে আমার এই
ভাঙা কোঠাবাড়িরসম অবিন্যস্ত জীবনে
বাস্তবিক কারোর-ই আসার কথা নেই
তবু আমি পথ চেয়ে বসে থাকি
সারা দিবস
সারা রজনী
নিঃসঙ্গতার পাথর সরানোর
কি অর্থহীন প্রয়াস!
২. দুঃসাধ্য
সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া-আছে প্রহরী; তারপরও
প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে, সে বেড়া ডিঙিয়ে; আমি
যেতে পারি ওপাড়ে
তোমার আমার মাঝে কোনো বেড়া নেই
নেই কোনো প্রহরী; তারপরও
আমি কিছুতেই যেতে পারি না তোমার কাছে।
৩. সন্দিগ্ধ
বৃষ্টি আগে ছোঁয় বৃক্ষের শরীর; তারপর
স্পর্শ করে হৃদয়
ঢুকে পড়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে
আর আমি আগে ছুঁয়েছিলাম তোমার হৃদয়
তারপর শরীর
বৃক্ষ চিরদিন বৃষ্টিকে কামনা করে
কিন্তু তুমি এখন আর আমাকে চাও না
তাহলে আমি যা ছুঁয়েছিলাম
তা কি তোমার হৃদয় ছিল না-ছিল না কায়া?
না কি সে তুমিই ছিলে না?
ছিল শুধু তোমারই ছায়া।