দেশে এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৫৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় এই ধরনের সহিংসতায় আহত হয়েছেন ৮ হাজার ২৯৬ জন। এরমধ্যে চলতি বছরের ১ থেকে ৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি ৯৩ জন রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন। আর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর (৯ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৫২ জনের। অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৬৭ জন গণপিটুনিতে নিহত হন। এরমধ্যে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ জন এবং ৯ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হন। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের দেওয়া
মানবাধিকারসংক্রান্ত ত্রৈমাসিক (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে গণমাধ্যমে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে আগস্ট মাসে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হন ১ হাজার ৫৮১ জন। এই তথ্যগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রী ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে নেওয়া হয়েছে। সংখ্যাটি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মোট মৃতের সংখ্যা।
অধিকার জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তালিকা তৈরির কাজ করে চলেছে।
অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকারকর্মীদের পাঠানো প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে তিন মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে এই মানবাধিকার সংগঠনটি।
প্রতিবেদনটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে (ক) রয়েছে কর্তৃত্ববাদী শাসক হাসিনার ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। দ্বিতীয় ভাগে (খ) রয়েছে ৯ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। তৃতীয় ভাগে (গ) রয়েছে ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো। চলতি বছরের ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে কোনো সরকার ছিল না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৬৭ জন গণপিটুনিতে নিহত হন। এর মধ্যে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ জন এবং ৯ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হন।