অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে সারাদেশে খুন হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ, বেড়েছে নৃশংসতাও। নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার কারণেই এসব অপরাধ ঘটছে বলে মত দিয়েছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। যদিও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দাবি, পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দুই সপ্তাহে শুধু ঢাকাতেই খুন হয়েছেন অন্তত ১১ জন। আর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে প্রতিদিন খুন হয়েছেন একজন করে। সংখ্যার হিসেবে ৬৮ জন। চারজন মিলে মাত্র চার মিনিটেই হত্যা করে প্রবাসী চিকিৎসককে, ঢাকার পল্লবীতে দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা, শিল্পপতিকে সাত টুকরো করেন প্রেমিকা। কয়েকদিন ধরে পত্রিকাজুড়ে শুধু এমন শিরোনাম।
ডিএমপির পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে প্রতিদিন খুন হয়েছেন একজন করে। সংখ্যার হিসেবে ৬৮ জন। মে থেকে জুলাই এই তিন মাসে ৮৮টি হত্যা মামলা হলেও পরের তিন মাসে হত্যা মামলা হয় ৩২৫টি। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে সারা দেশে খুন হয়েছে পাঁচ শতাধিক।
পরিসংখ্যান শঙ্কাজনক হলেও পুলিশ বলছে, বেশিরভাগ ঘটনাই বিচ্ছিন্ন। আর ডিএমপির দাবি, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, চিহ্নিত ও দাগী অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। খুব দ্রুতই বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা যায়।
অপরাধ বৃদ্ধির জন্য সার্বিকভাবে নিরাপত্তার ঘাটতিকে দায়ী করছেন সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। আর নৃশংসতা বৃদ্ধিতে দায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিছু ঘাটতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে বলেই এ ধরনের ঘটনা এত ঘটছে। এছাড়া অপরাধীদের মধ্যেও এমন মনোভাব চলে এসেছে যে, অপরাধ করলেও তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ অনেক সময় নেবে।