সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে যা করতে হবে করব : প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত সিইসি

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিকে একটি ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এ জন্য কী কী করতে হবে সেটা বোঝার চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় হাত দিতে হবে আমি সেই কাজটা করব।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি সৌভাগ্যবান যে বদিউল আলমের মতো একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে একটা রিফর্ম কমিশন কাজ করছে। সুতরাং, অসুবিধা হবে না সমস্যাগুলো বুঝতে। যেখানে যেখানে লুপহোলস থাকবে, সেগুলো ফ্ল্যাগস দিয়ে বন্ধ করাই হবে আমার কাজ।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেব, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকে ইচ্ছে ভোট দিতে পারবে। সেই ব্যবস্থা আমি করব। সেটাই আমার কমিটমেন্ট এবং চেষ্টা হবে। তিনি আরও বলেন, আগের নির্বাচনগুলো থেকে শিক্ষা পেয়েছি। সেরকম নির্বাচন যেন না হয় সেই ব্যবস্থা নেব।

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নাম সার্চ কমিটির কাছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বিএনপি যে দুজনের নাম প্রস্তাব করেছিল, তার মধ্যে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নাম ছিল। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে গেছেন। নাসির উদ্দীন বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পৃথক প্রজ্ঞাপনে চারজনকে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।

  • এ এম এম নাসির উদ্দীন
  • প্রধান নির্বাচন কমিশনা
  • #