অনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের ক্ষোভ থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের গৃহবধূ নূরজাহানকে হত্যা করা হয়। ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডটির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এতে জড়িত মো. আলিফকে (২৭) টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-৪। সংস্থাটি জানিয়েছে, ধর্ষণের পর ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করে আলিফ। এ বিষয়টি সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। উপজেলার বোয়ালীপাড়া গ্রাম থেকে ১৯ নভেম্বর বিকেলে নূরজাহান বেগমের (৩৩) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আলিফকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে বোয়ালীপাড়ার বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আলিফ র্যাবকে জানায়, নূরজাহানের স্বামী তাদের প্রতিবেশী। তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কের সূত্রে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে আলিফের। প্রায়ই ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করত সে। এর সুবাদে নূরজাহানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা হতো। যা পরে প্রেমে গড়ালে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় নুরজাহানের। সংসার ঠেকানোর স্বার্থে ওই নারীর স্বামী আলিফের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। স্ত্রীকেও আলিফের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন।
র্যাব জানায়, আলিফ ওই নারীকে সম্পর্ক বজায় রাখতে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। বেশ কিছুদিন ধরে যোগাযোগ বন্ধও রাখেন নূরজাহান। তবে একবারের জন্য হলেও দেখা করতে ওই নারীকে পীড়াপীড়ি করে আলিফ। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে প্রতিবেশী বিল্লাল হোসেনের জমিতে যান নুরজাহান। সেখানে শারীরিক সম্পর্কের পর আলিফ ছুরি দিয়ে নুরজাহানকে হত্যা করে। পরে সে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২০ নভেম্বর নূরজাহানের বাবা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। আলিফকে শনিবার সকালে শিবালয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি আল মামুন।