রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২৯ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালে আরও ২০ জনের বেশি চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বুটেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আজিজ হল ও ঢাকা পলিট্যাকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে আর কয়েকটি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এ সংঘর্ষ। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে দুপক্ষের ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে। সর্বশেষ দিবাগত রাত ২টার পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে বুটেক্স ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষক, সেনাবাহিনীর ও পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে। পরে রাত দেড়টার দিকে সেনাবাহিনীর ও পুলিশ সদস্যরা রাস্তা থেকে সরে যায় বলে জানা গেছে।
লতিফ ও আজিজ হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষের প্রায় শতাধিক আহত হয়েছে। পরে আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালে ২৯ জন চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন ইমন (২৪), উৎসব (২৪), আজাদ (২৪), বুলবুল (২৪), প্রাশান্ত(২৪), শিশির(২৪), তৌফিক (২২), রুদ্র (২৩), আনান (১৮), জুনায়েদ (২৪) (১১) সমিক (২৪), ইমন (২০), রাকিব (২০), নাহিদ(২৩), ইমন (২৩), প্রবাল (২২), রমজান (২২), মোঃ মিঠুন (২১), ইমরান(২১), নাদিম, (২১)ফাহাদ (১৯), খালেক (১৯), সোহান (২২), আমিন (২২), রিফাত বিশ্বাস (১৮), তপু (২০), মেহেদী (২১), প্রার্থ (২৪) ও হাসান (১৮)। তারা সবাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বুটেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত সম্পর্কে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন আগে বুটেক্স ক্যাম্পাসের মাঠে মাদক সেবন নিয়ে আজিজ হল পলিটেকনিকের লতিফ হলের শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এঘটনা জেরে রবিবার (২৪ নভেম্বর) এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা সংঘষে রূপ নেয়। পরে এ ঘটনা বুটেক্স ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কয়েকটি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় চলা সংর্ঘষে ৫০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গাজী শামীমুর রহমান বলেন, বুটেক্স ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সদস্যরাও ছিল।