চট্টগ্রাম নগরীর আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় তিন দিন পর হত্যা মামলা করেছে পরিবার। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া চিন্ময়কাণ্ডে আরো একটি মামলা করেছে নিহত আলিফের বড় ভাই। ওই মামলায় ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নগরের কোতোয়ালী থানায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেছেন খুনের শিকার আইনজীবী আলিফের বড়ভাই খানে আলম।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, রাতেই নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিহত আলিফের বাবা ও বড় ভাই পৃথক দুইটি মামলা করেছেন।
এতে আসামি করা হয়েছে অনন্ত ৫০০ জনকে। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আইনজীবী হত্যায় ৯ জন জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান আছে।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারী ও ইসকন কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।