একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছায়ানট

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ও দেশীয় বৈশিষ্ট্যে স্বাধীনসত্তায় বিকশিত হতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে ১৯৬১ সালে ছায়ানটের জন্ম। সংগীত-সংস্কৃতি ও সংস্কৃতি-সমন্বিত সাধারণ শিক্ষা নিয়ে কাজ করে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছায়ানট জানায়, মতাদর্শ বা বিশ্বাসে মানুষে-মানুষে, সমাজে-সমাজে যতোই মতভেদ থাকুক, দ্বন্দ্ব থাকুক-বর্তমান পৃথিবী ছুটছে বিশ্বায়নের পথে। তবে ছায়ানট যেমন বিশ্বসমাজের বিচিত্র সংস্কৃতির সুরভি আস্বাদন করে তার অংশী হতে চায়, তেমনই চায় আপন সামাজিক গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক বাঙালি সংস্কৃতির সুবাতাস। প্রতিটি ক্ষণে অগ্রসরমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে, এই বিবর্তনের কালে, নিজের মাধুর্য ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এবার সেই পথে হাঁটছে ছায়ানট।

রমনা বটমূলে বাংলা-১৪২৪ বর্ষবরণ আয়োজনে ছায়ানট সভাপতি সানজীদা খাতুন আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‌‘বিশ্বায়নের জোরালো প্রচারে নতুন প্রজন্ম আজ আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। সেই ক্ষেত্রটিতে তো আমরাও বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরতে পারি। আসুন, বিশ্বায়নকে স্বীকার করেই বাঙালির সাংস্কৃতিক অর্জনের শ্রেষ্ঠ নিদর্শনগুলো আমরা ছড়িয়ে দিই ইন্টারনেটে। এভাবে সব সংস্কৃতির পাঠই পাক আমাদের সন্তানেরা। ওই মাধ্যমকে তো আমরাও ব্যবহার করতে পারি দেশীয় সংস্কৃতির প্রচারের জন্যে।’

সেই উপলব্ধি থেকে ছায়ানট উদ্যোগ নিয়েছে, যা ভালো, যা মনের মধ্যে মানবপ্রেম-প্রকৃতিপ্রেম বিকশিত করে, সম্পীতির সমাজ গড়ে দেয় তা সকলের কাছে মেলে ধরবে। এর নির্যাসের কণাটুকুও মানুষের মনে আশ্রয় পেলে এবং তা দিয়ে মানুষকে মঙ্গল-কল্যাণের পথে ধরে রাখাই হবে ছায়ানটের পরম সার্থকতা।

বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকে প্রতি সকালে একযোগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স এবং ইউটিউব চ্যানেলে ছায়ানট একটি করে কন্টেন্ট প্রকাশ করবে। প্রথম কন্টেন্ট, জাতীয়সংগীত। যেখানে সমমনা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন—নালন্দা, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, কণ্ঠশীলন ও ব্রতচারীর সহযোগিতায় হাজারও মানুষ এর দৃশ্যধারণে অংশ নিয়েছে, কণ্ঠ মিলিয়েছে।

মানবতাবোধের পুনর্জাগরণে ছায়ানটের প্রাক্তনী সম্মিলনমানবতাবোধের পুনর্জাগরণে ছায়ানটের প্রাক্তনী সম্মিলন
ছয় দশকের ওপর পথচলায় ছায়ানট হাজার হাজার গানের সম্ভার গড়ে তুলেছে। সেসব গানের অডিও এবং সাম্প্রতিককালের ভিডিও থেকেই মূলত কন্টেন্টগুলো তৈরি হবে। তবে এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে করতেই সকল অনুষ্ঠান-আয়োজন ফেইবুকে লাইভ করতে শুরু করেছে ছায়ানট। লাইভ আয়োজনগুলোও একযোগে প্রচারিত হবে পরিকল্পিত সকল নতুন মাধ্যমে।

নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট প্রকাশ প্রতিদিন সকাল ৯টায়। প্রাথমিক এই আয়োজনের নাম ‘জাগরণী’। ছায়ানটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মানবজীবনের সকল আঁধার থেকেই জাগরণের প্রয়োজন। আমরা সৎ-সুন্দর আলোর অভিযাত্রী। সকলকে আহ্বান জানাই–জেগে উঠি জেগে থাকি, দেশের টানে জীবনের টানে, প্রাণের গানে।’

স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার ‘নামনকশা’ করেছেন ছায়ানট সদস্য সুজন চৌধুরী। জাতীয়সংগীত নিয়ে সূচনা পর্বের প্রযোজনায় রয়েছেন আমিনুল ইসলাম ও টুকু মজনিউল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা, যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ, যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায়, সংগীতবিদ্যায়তনের শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু ও দীপ্র নিশান্ত। আরও উপস্থিদ ছিলেন কার্যালয় প্রতিনিধি অনিন্দ্য রহমান, দুলাল ঘোষ, মুনরবী অমিয় মুহাম্মদ, সুব্রত সাহা।

সামাজিকমাধ্যমে ছায়ানট—

ফেসবুক: https://www.facebook.com/chhayanautbd

ইনস্টাগ্রাম: https://www.instagram.com/chhayanautbd

এক্স: https://x.com/chhayanautbd

ইউটিউব: https://www.youtube.com/@chhayanautbd

  • ছায়ানট
  • সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
  • #