দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা। প্রেসিডেন্টের সামরিক আইন জারির পদক্ষেপ ব্যর্থ করার পর এই অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করলেন এমপিরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় আজ বুধবার বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের একটি জোট জানায়, তারা আজই পার্লামেন্টে ইওলকে অভিশংসন করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করবেন। আর আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য ভোটের আয়োজন করা হবে।
এর আগে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক টেলিভিশন ভাষণে সামরিক আইন জারির ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। জাতির উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে উদার দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য এবং রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলো নির্মূল করার জন্য… আমি এতদ্বারা জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করছি।’
সামরিক আইন ঘোষণার দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এমপিরা এর বিরোধিতা করেন। প্রেসিডেন্টকে অস্বীকার করে জাতীয় পরিষদে জড়ো হয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত প্রতিহত করতে ভোট দেন। পার্লামেন্টে এই আদেশ জারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এক টেলিভিষণ ভাষণে তিনি বলেন, পার্লামেন্ট সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, অভিশংসন, তদন্ত ও নিজেদের নেতাকে রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছে বিরোধী দল। এজন্য তারা পার্লামেন্টকে ব্যবহার করছে। তাই সামরিক আইন জারি করে তিনি পার্লামেন্ট স্থগিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।