বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিখোঁজ স্পিড বোটের চালকসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। বরিশাল সদর নৌ-থানার এসআই মো. ওমর ফারুক জানান, রোববার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে কীর্তনখোলা নদী থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ওমর ফারুক বলেন, নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় দুর্ঘটনাস্থলের কাছে প্রথমে একজনের লাশ ভেসে ওঠে। ওই লাশ উদ্ধার করার সময় ভেসে ওঠে আরও একটি লাশ। দুটি লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর পর আরও একজনের লাশ ভাসতে দেখা যায়।
মৃতরা হলেন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে স্পিডবোট চালক মো. আলামিন (১৮), ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. শাহবুদ্দিনের ছেলে মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৯) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নোওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে রাসেল আমিন (২৫)। নিখোঁজ সজল দাস (৩০) বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। পরে নদী থেকে জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে চারজন নিখোঁজের কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
ওই দুর্ঘটনায় ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল মানসুর আহমেদ আহত হন। তাকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উদ্ধার তিনটি লাশ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে জানিয়ে এসআই ওমর ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের পর লাশগুলো যার যার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় বাল্কহেড চালক খালেক মাঝি ও স্পিডবোট চালক আলামিনকে আসামি করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন এসআই ওমর ফারুক। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে বাল্কহেড চালক বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বলে এসআই ওমর ফারুক জানান।