৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশ্বাস ও সম্পর্কে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেটিকে কমানো যাবে বলে আশা করে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের (এফওসি) আলোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি সকালে ঢাকা আসেন। বিকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সংক্ষিপ্ত একটি বিবৃতি দেন এবং তিনি প্রশ্ন নেননি। রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, বিশ্বাসের একটি ঘাটতি আছে। ঘাটতি ছিল বলেই আমাদেরকে এই পথটা অতিক্রম করতে হয়েছে। আজকের বৈঠক ওই ঘাটতি মেটানোর জন্য এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ। রাজনৈতিক বার্তা হচ্ছে এই পথটি অনুসরণ করে এর পরবর্তী স্তরে যে আলাপ-আলোচনা- সেটি আশা করব।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফেরত আনার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং সেটি হলে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ছাড়াও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যেমন একটি কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে ভারতকে জানানো সম্ভব বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটি আমাদের পছন্দ হচ্ছে না। আমরা এটিও বলেছি যে আমরা যে এটি পছন্দ করছি, এটি যেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এটির বিষয়ে নোট নিয়েছেন।
ভারতের মিডিয়াতে বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হচ্ছে এবং এর প্রতি দৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব এবং বিপ্লব-পরবর্তী সংখ্যালঘুদের প্রতি কথিত বৈরী আচরণ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার, মিথ্যা তথ্য, এবং বিভ্রান্তিকর বয়ান রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া আগরতলা এবং কোলকাতা মিশনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ জোরালোভাবে প্রতিবাদ করেছে বলে তিনি জানান।
সীমান্তে যে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে এটি কাম্য নয় এবং দুইদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে সেটির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।