২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের দেশে নতুন করে ৭৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। এর মধ্যে ৩৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ প্রাক্কলন করেছে। রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি’ শিরোনামে এক কর্মশালায় এ হিসাব তুলে ধরা হয়।
সংস্থাটি ২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে, এ সময়ে নতুন করে ৭৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। এর মধ্যে ৩৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র হয়েছে। আর দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে ৯৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ। এর কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি; চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।
র্যাপিডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, মূল্যস্ফীতি ও মজুরি বৃদ্ধির সরকারি হিসাব পর্যালোচনা করে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির এ প্রাক্কলন করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, মোট দারিদ্র্যও বেড়ে গেছে। প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে যদি বিবিএস বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরিপ করে।
কর্মশালায় র্যাপিডের এম এ রাজ্জাক, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আবু ইউসুফ ও গবেষণা পরিচালক দীন ইসলাম উপস্থাপনাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।