আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সবধরনের ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক, কর ও ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সোমবার এ অব্যাহতি দিয়ে পৃথক ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্থাটি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র মাহে রমজানে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে তেলের মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এসকল পণ্যর ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ব্যতিত অন্য কোন শুল্ক-কর প্রযোজ্য হবে না। ফলে এ সকল তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা হ্রাস পাবে। যার ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে বলেও জানায় এনবিআর।
পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল আমদানিতে সকল আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে দেওয়া দুই প্রজ্ঞাপনে সয়াবিন ও পাম ওয়েলের কর অব্যাহতি ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল।
ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্য তেলের মূল্য সহনীয় রাখতে সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর ও মুসক কমানো হয়েছে। সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে উর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে পবিত্র রমযান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সানফ্লাওয়ার তেল ও কেনোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর হ্রাস করার ফলে এ সকল তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা হ্রাস পাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক গৃহীত এ সকল ব্যবস্থার ফলে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে বাজার মূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে বলে আশা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।