কারা হেফাজতে যুবলীগ নেতার মৃত্যুসহ গণ-গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ আ. লীগের

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে

কারা হেফাজতে যুবলীগ নেতার মৃত্যুসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, হত্যা ও গণ-গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বিবৃতি দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করে চলেছে অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকার। সারা দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নজিরবিহীন অত্যাচার-নির্যাতন দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। বেআইনিভাবে গণগ্রেফতার পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারণকারী প্রগতিশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একের পর এক রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আবার যাদের নামে মামলা নেই তাদের গ্রেপ্তার করে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গণ-গ্রেপ্তাতার পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে তলানিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়- য়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধিকমাত্রায় সক্রিয় হলেও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তাদের তৎপরতা চোখে পড়ে না। সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে বিএনপি-জামাতের ক্যাডার ও সন্ত্রাসীবাহিনী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর ন্যাক্কারজনকভাবে আক্রমণ করছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ১৯নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শামসুদ্দিনের এক হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে বিএনপির ক্যাডাররা। এছাড়াও রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়িতে অহরহ চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সব ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গগোষ্ঠীর তৎপরতা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে, কুপিয়ে জখম ও হত্যা করছে। কিছুদিন আগে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ পুলিশের এক এস আইকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করছে। এগুলোর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জনসম্মুখে আসলেও সরকার নির্বিকার। এসব সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে সরকারের কোনো তৎপরতা নেই। তার কারণ হলো, শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে এসব সন্ত্রসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে কাজে লাগানো হয়। সুতরাং তাদের সঙ্গে সরকারের একটা গোপন আঁতাত থাকার কারণে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। পাড়া-মহল্লা, গ্রামগঞ্জ, নর্দমা-ডোবায় মিলছে অজ্ঞাত লাশ। মৃত্যুর মিছিল কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। সমগ্র বাংলাদেশ যেনো এক মৃত্যু উপত্যকা। গতরাতে নীলফামারি জেলার জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মমিনুর রহমানকে কারাহেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই জুলুম শাহী অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জনগণের পক্ষে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনূস সরকারের করায়াত্ত করা আদালতে এসব নেতাকর্মীদের দোষী সাব্যস্ত করা হলেও জনতার আদালতে তারা বীর। তাদের প্রদর্শিত শক্তি ও সাহস আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাথেয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্যাতিত নেতাকর্মীদের এসব ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা আজীবন স্মরণ রাখবে। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ গণতান্ত্রিক চেতনার মানুষের উপর এ সকল অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

  • আ.লীগ
  • কারা হেফাজত
  • গণ-গ্রেপ্তার
  • প্রতিবাদ
  • যুবলীগ নেতার মৃত্যু
  • #