রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচলানায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি গত ১৫ এপ্রিল ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটাকে কেন্দ্র করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হলে মাত্র একদিন পর ১৬ এপ্রিল সকালেই নাটকটি প্রত্যাহার করা হয়।
নাটকটিতে কী আছে?
নাটকের পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নাটকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কিছু নেই। এটা আইন এবং সমাজের বিরুদ্ধেও নয়।
নাটকের গল্প নিয়ে পরিচালক বলেন, এই নাটকের গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে কেন্দ্র করে, যিনি ছোটবেলায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। এ কারণে তিনি জানতে পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা তারা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন অনাথ আশ্রমে। চিত্রকর হিসেবে পেয়েছেন খ্যাতি। এর মধ্যে একজন ধনীর কন্যা তার শৈল্পিক প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। কিন্তু চিত্রশিল্পী (নায়ক) তাকে নানা অজুহাতে এড়িয়ে চলেন। শেষ পর্যন্ত নায়িকা বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব পাঠান ওই শিল্পীকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানানো হয়, তিনি আসলে একটি হরমোনজনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। দেখতে পুরুষের মতো হলেও ঘটনা ভিন্ন, তিনি পুরুষ নন।
পরিচালক রিংকু আরো বলেন, আমি একজন প্রাকৃতিকভাবে রূপান্তরিত মানুষের কথা বলেছি। এটা ন্যাচারাল। এটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। এটা মেডিকেল সায়েন্স স্বীকার করে। আমার নাটকের শেষে একজন চিকিৎকও বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।