বগুড়ায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত যুবদল নেতার মৃত্যু

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২ মাস আগে
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপি নেতা ও তার অনুসারীদের হামলায় আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান (২৭) মারা গেছেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক হারুনার রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত রাশেদুল সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য।

অভিযোগ রয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা বাজারে রাশেদুলের ওপর হামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার লোকজন। এদিকে আজ রাশেদুলের মৃত্যুর খবর শুনে বিএনপি নেতা হান্নান ও তার সহযোগীদের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেছেন বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা।

নিহত রাশেদের স্বজনদের অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরে সোনাতলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপের বিরোধ চলছিল। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাশেদ বগুড়া শিবগঞ্জে বন্ধু বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। পথে পাকুল্লা বাজারে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হান্নান বাটুলের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা ভারী বস্তু দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। আহত অবস্থায় রাশেদকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় চিকিৎসক রাশেদকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সোনাতলা থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।

সোনাতলা থানা পুলিশের ওসি মিলাদুন্নবি বলেন, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই জের ধরে রাশেদ নামের একজনকে মারধর করা হয়। শুক্রবার রাশেদ মারা গেলে তার পক্ষের লোকজন বাটালু (হান্নান) ও তার লোকজনের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করেন। এর আগেই বাটালু ও তার লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। রাশেদুল মারা যাওয়ার খবরে পাকুল্লা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করেননি।

  • আহত
  • বগুড়া
  • বিএনপি নেতা
  • মৃত্যু
  • যুবদল নেতা
  • হামলা
  • #