শিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি, ঢাবিতে ৫ ছাত্রসংগঠনের সভা ত্যাগ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ দিন আগে

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবস আয়োজন উপলক্ষ্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থাকায় আপত্তি জানায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল। সংগঠনগুলো আপত্তি জানিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে।

রোববার বিকেল সোয়া ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সভায় এই ঘটনা ঘটে। পরে ৬টা নাগাদ এই সভা শেষ করে দেওয়া হয়। সভায় ১৭-১৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রশিবির মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে এখনো অবস্থান পরিষ্কার করেনি। সম্প্রতি তাদের একটি ম্যাগাজিনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী লেখা ছাপানো হয়। এ ছাড়া নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতার অপরাধও শিবিরের কাঁধে আছে। তারা এ বিষয়গুলোতে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার আগে একসঙ্গে বসা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলেছি- পরিবেশ পরিষদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। পরিবেশ পরিষদ থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে গণতন্ত্রকামী দলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করতে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সেগুলো অমীমাংসিত থেকে যাবে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান  বলেন, প্রশাসন আমাদেরকে আলোচনার জন্য আহ্বান করার সময় শিবিরের উপস্থিতি নিয়ে কিছুই বলেনি। কিন্তু সভায় গিয়ে দেখি শিবিরের নেতারাও এসেছে। তখন আমরা এবং আরও ৪টি ছাত্রসংগঠন প্রশাসনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারে না। ফলে আমরা সভা ত্যাগ করি।

তিনি বলেন, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বিরোধিতার মতো অপরাধ করেছে শিবির। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর রক্ত লেগেছে তাদের হাতে। ১৯৯০ এ পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রশাসন তাদেরকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সভায় ছাত্রশিবিরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, ঢাবি সভাপতি এস এম ফরহাদ এবং সেক্রেটারি জেনারেল মহিউদ্দিন খান।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস-২০২৫ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, একুশের উদ্‌যাপন নিয়ে আমাদের সভা ছিল। কোনো ছাত্র সংগঠনের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ থাকলে তার সমাধান আমরা এখানে দিতে পারি না। যারা আপত্তি জানিয়েছে তাদের সব কথাই শুনেছি আমরা। তাদেরকে পরামর্শ দিয়েছি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের কথা উপস্থাপনের জন্য। একুশে উদ্‌যাপনে তাদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে মিটিং সমাপ্ত করেছি।

  • ছাত্রসংগঠন
  • ঢাবি
  • সভা ত্যাগ
  • #