গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে লিচুবাগানের ভেতর থেকে এক মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নলগাঁও খয়ড়াপাড়া গ্রামে ওই লিচুবাগানের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার ডান পায়ে গোড়ালির ওপর আঘাতের আলামত রয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম এম এ গনি (৭০)। তিনি ওই গ্রামের কামাল উদ্দিন শেখের ছেলে।
খয়ড়াপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মেজবাহ উদ্দিন জানান, এম এ গনির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েটি বিবাহিত। মেজো ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এম এ গনি গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ির পাশে জমি কিনে বাড়ি করেছেন। সেখানে তাঁর স্ত্রীসহ ছোট ছেলে থাকেন। খয়ড়াপাড়ায় বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন।
এম এ গনির ছোট বোন উম্মে কুলসুম জানান, তাদের বাড়ি অনেকটা পাশাপাশি। ফলে প্রতিদিন তিনিই তার বড় ভাইয়ের খোঁজ নিতেন। গতকাল শনিবার সকালে তাঁর বড় ভাইয়ের বাড়ি গিয়ে তাঁকে (গনি) খুঁজে পাননি। পরে ওই দিন দুপুরে ফের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন। ওই সময়ও বাড়িতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজ নিয়েও কোনো হদিস পাননি। তাঁর বড় ভাইয়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও ছিল ঘরের ভেতর।
আরেক প্রতিবেশী তানভীর হোসেন জানান, এম এ গনির বাড়ি থেকে লিচুবাগানটির দূরত্ব প্রায় ১০০ গজ। লিচুবাগানটির মালিকও এম এ গনি। পরে চাদর দিয়ে মরদেহটি ঢেকে রাখে প্রতিবেশীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিকেলে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার এটা হত্যাকাণ্ড কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।