শেরপুরের নকলায় ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় বিচার দাবিতে নকলা থানা ঘেরাও করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রোববার বিকালে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে নকলা থানা ঘেরাও করেন। ঘণ্টা দেড়েক পর বিক্ষোভকারীরা থানার ফটকের সামনে ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় শ্লোগান দেওয়া হয় ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রেপিস্টের আস্তানা, বাংলাদেশে থাকবে না’, ‘রেপিস্টের চামড়া, তুলে নিব আমরা’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই, দিতে হবে’।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আশিককে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত আশিক নকলা টালকি ইউনিয়নের শালুয়া গ্রামের আবু সাইদের ছেলে।
আর ওই কিশোরী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তার বাবা একজন দিনমজুর।
পুলিশ ও কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পাশের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন কিশোরীকে খুঁজতে বের হয়। পরে বাড়ির পাশে ভুট্টাখেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ওই কিশোরীকে। ওই সময় মামলার আসামি বখাটে যুবক আশিকসহ আরও ৩-৪ জন পালিয়ে যায়।
পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই কিশোরী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম জানান, ওই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতার এবং কিশোরী ও তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতে কাজ করছে পুলিশ।