বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুল্লাহকে কুপিয়ে জখমসহ হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এক বিএনপি নেতা ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ মুমূর্ষ অবস্থায় আহত ছাত্রদল সভাপতিকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ববিরোধের জেরধরে শনিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে নিয়ামতি বাজারের ভিআইপি মিষ্টির দোকানের সামনে বসে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শাহীন ফরাজী নেতৃত্বে তার সহযোগিরা প্রকাশ্যে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহীন ফরাজীর সাথে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুল্লাহর দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে।
প্রতিপক্ষের মামলায় ছাত্রদল নেতা ইতিপূর্বে কারান্তরীণও ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আরও চরম আকার ধারণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রাত নয়টার দিকে আসাদুল্লাহ বাজারে অবস্থান করছিলেন। এসময় নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সালাম মৃধার উপস্থিতিতে যুগ্ম আহবায়ক শাহীন ফরাজীর নেতৃত্বে তাদের সহযোগিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদল সভাপতিকে এলোপাথারিভাবে কোপাতে শুরু করে।
এসময় জীবন রক্ষার্থে ছাত্রদল নেতা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে তাকে রাস্তার ওপর ফেলে কুপিয়ে মারাত্মক জখমসহ হাত ও পায়ের রগ কর্তন করে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে।
ছাত্রদল নেতার স্বজনরা জানিয়েছেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসাদুল্লাহকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ছাত্রদল নেতাকে উদ্ধার করেছেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছেন।