বরিশাল নগরীতে সুজন হাওলাদার (২৪) নামের এক তরুণকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়ানগরে এ ঘটনা ঘটে। দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যার এ ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হত্যা মামলা করা হয়নি। বরং একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বরিশাল কোতোয়ালি থানায়। তবে নিহতের বাবা মনির হাওলাদার বলেছেন, ঘটনার দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার তিন দিনেও পুলিশ মামলা না নেওয়ার সুযোগে জড়িত ব্যক্তিরা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ ব্যাপারে আইনি দিক জানতে চাইলে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী আজাদ রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, কাউকে পিটিয়ে হত্যার নিয়ম নেই, অপরাধ করলে আদালত বিচার করবেন। সুজনকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় পুলিশ হত্যা মামলা করে আইনি ব্যবস্থা নেবে, এখানে অপমৃত্যুর মামলা হওয়ার সুযোগই নেই। কেননা কারা হত্যা করল তা তো সবাই দেখেছেন। পুলিশ দায়িত্ব এড়ানোর জন্য হত্যা মামলার পরিবর্তে অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মনে করেন আইনজীবী আজাদ।
নিহত সুজনের বাবা মনির হাওলাদার বলেন, ঘটনার রাতেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু ওসি বলেছেন, দাফন শেষে আসার জন্য। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে কারা পিটিয়ে মেরেছে, তা তো আপনারা দেখেছেন। আমি বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সুজনের মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তও সম্পন্ন হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার এখনো মামলা দেয়নি। ওসি দাবি করেন, স্বজন মারা গেছে, এ জন্য হয়তো বিলম্ব হচ্ছে।