গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল থেকে সিলেটে বিভিন্ন দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ী নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে এ নিয়ে বইছে নিন্দার ঝড়। এরই মধ্যে সিলেটের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে প্রশাসন।
লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটি পাড়া গ্রামের মো. রাজন (১৯), সুনামগঞ্জের হাছন নগরের ও বর্তমানে নগরের কাজীটুলার ইমন (১৯), কাজীটুলার মো. রাকিব (১৯), সওদাগরটুলার লাল মঞ্জিলের বাসিন্দা মো. আব্দূল মোতালেব (৩৫), সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটিপাড়া বাসিন্দা ও কাজীটুলার বাসিন্দা মিজান আহমদ (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ভাটিপাড়া ও গোয়াইটিলা বাছির মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা সাব্বির আহমদ (১৯), সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের জুনাইদ আহমদ (১৯)। কুমিল্লার শাখপুরের বাসিন্দা মো. রবিন মিয়া (২০), নোয়াখালীর সৈয়দ আল-আমিন তুষার (২৯), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ছাইদলের বাসিন্দা মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট পিছের মুখ কলাপাড়ার বাসিন্দা মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজারের বাসিন্দা মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের বাসিন্দা আল নাফিউ (১৯), বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের মো. সোহেল খান (৪২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সিদ্দরপাশা গ্রামের সুমন মিয়া রুপন (৩৫), বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের অরুন মালাকার (৩৫), সিলেট নগরের শিবগঞ্জ সাদিপুর এলাকার মামুনুল হক।
সোমবার রাত থেকেই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নগরের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশিসহ পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধীদের ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. রেজাউল করিম ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে বলেন, গতকাল রাত থেকে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, কেএফসি ভবনের মালিকের দায়ের করা এজাহারের প্রেক্ষিতে আটক করা ১৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সোমবারের লুটপাটের পর সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসএমসিসিআই) নেতারা মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কেএফসিসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। সমবেদনা প্রকাশ করে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।