ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ১০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা চলে সংঘর্ষ।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বর পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ রয়েছে। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর।
এ বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে লুটপাট করে প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি নিজেকে বিএনপির লোক দাবি করে বলেন, ২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসরেরা। তারা আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আমার সমর্থক বাজারের ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মুনসুর মাতুব্বরও নিজেকে এবং ভাই নুরু মাতুব্বরকে বিএনপির লোক দাবি করেন। তিন বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর (সাবেক এমপি) লোক। বিগত দিনে তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকেলে বালিয়া গ্রামে আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে তারা।