ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। হত্যার পর মরদেহ ইছামতী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
শুক্রবার ওই যুবকের মরদেহ ভেসে ওঠে। মরদেহটি বাঘাডাঙ্গার গ্রামের বুনোপাড়ার ওয়াসিমের বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ করে আসছিল তার পরিবার। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, গত চার দিন ধরে কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না ওয়াসিমের। শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার পথে মরদেহ ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ওয়াসিমের বড় ভাই বুনোপাড়ার মেহেদী হাসান দাবি করেন, ওয়াসিম ৩-৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সম্প্রতি জানতে পেরেছি, মাঝেমধ্যে সে ভারতে ধূর নিয়ে যাতায়াত করত। গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। ভারত থেকে ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের ধাওয়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে ওয়াসিম। তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম জানান, মরদেহটি ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে থাকায় উদ্ধার করা যায়নি। তবে বিএসএফকে জানানো হয়েছে। মরদেহটি বাংলাদে্শি না ভারতীয়, তা এখনো আমরা জানতে পারিনি। এছাড়া কোনো পরিবার তাদের সদস্য নিখোঁজ থাকার বিষয়েও জানায়নি।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে একটি মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেহেতু সীমান্তের বিষয়, সেকারণে বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে। বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবেন।