নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে নিখোঁজের এক দিন পর প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে পাবনার চাটমোহরে পাটক্ষেতে মুখ ঝলসানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।নিহত শিশুর বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে। সে স্থানীয় একটি হেফজখানার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ জানায়, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে গতকাল (সোমবার) শিশুটি বেড়াতে বের হয়। পাশেই দাদিবাড়ি গিয়ে তার সেমাই খাওয়ার কথা ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও দুই বাড়ির কোথাও সে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। তবে কাল তাকে খুঁজে পায়নি কেউ। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা শিশুটির পরিবারে খবর দেন, এরপর পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শিশুটির মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো এবং শরীর বিবস্ত্র ছিল। পরে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও শিশুটির প্রতিবেশী এমদাদুল হক বলেন, এলাকার কৃষকরা খেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম তার লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারে খবর দিলে আমরা সেখানে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তার মুখের পুরোটাই পোড়া ছিল। গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা। লাশের মুখ যাতে চেনা না যায়, তার জন্য অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে। মৃতদেহ চাটমোহরে পাওয়া গেছে। তাই মামলাটি সেখানকার থানায় লিপিবদ্ধ হবে।