২০ এপ্রিল, ২০২৫
সংস্করণ:
আদালতে শুনানি চলাকালে এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে নিষেধ করায় এক পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনি এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এম এস কলোনি এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম (৩৫)।
এদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। বাকিদের দলীয় পদবি না জানা গেলেও তারা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলের করা একটি নাশকতা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন তারা। এসময় তারা শুনানি চলাকালে এজলাসে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য তাদের বাধা দেন। এতে ওই পুলিশ সদস্যকে তারা মারধর করেন।
পরে আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন ওই পুলিশ সদস্যকেত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এই শুনানি শেষে মারধরে অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ।
আদালতের দায়িত্বরত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম বলেন, আদালতে এজলাসে পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, এজলাসে ছবি তোলা ও এ নিয়ে পুলিশের গায়ে হাত তোলা বড় ধরনের অপরাধ। অভিযুক্তরা বিএনপির কেউ হয়ে থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Web Design & Development:
