ভোলার চরফ্যাশনে পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেওয়ার অভিযোগে হাবিবুল্লাহ নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা সারমিন মিথী।
মঙ্গলবার চরফ্যাশন কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ওই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিত ওই শিক্ষক আসলামপুর কালিয়াকান্দি কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার পদে কর্মরত আছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল্লাহ চরফ্যাশন কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ৮ নম্বর কক্ষের দাখিল আরবি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন। কক্ষে আসলামপুর মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়।
পরীক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেওয়ার সময় চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যাপক ইকবাল হোসেন তাঁকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্ধ্যায় ওই শিক্ষককে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রসচিব মাওলানা মো. নুরুল আমিন বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় আমার কেন্দ্রে ১৪টি পরীক্ষাকক্ষে নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। তারপরও ভুল-বোঝাবুঝি থেকে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
ইউএনও রাসনা সারমিন মিথী বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্রে শিক্ষার্থীর খাতায় লিখে দেওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষককে অর্থদণ্ড করা হয়েছে এবং পরীক্ষার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।