২০ এপ্রিল, ২০২৫
সংস্করণ:
চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠ এলাকায় দুর্বৃত্তের হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিপুন সাহা (২৫) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত নিপুন সাহা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাজার পাড়ার কৃষ্ণ সাহার ছেলে, ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি পেশায় তরমুজ বিক্রেতা ছিলেন। সদর থানা পুলিশ ও নিহতের প্রতিবেশীরা নিপুন সাহার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১১ এপ্রিল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজারে কেনা তরমুজ লাল না হওয়ায় বিক্রেতার সঙ্গে একজন ক্রেতার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই দিন রাত ১০টার দিকে একদল কিশোর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তরমুজ বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম ও তাঁর বন্ধু বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি রুবেল হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত ব্যক্তিদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত আমিনুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রুবেল হোসেনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। আহতরা হামলাকারীদেরকে মুখে চিনলেও নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি। ওই ঘটনার সময় তরমুজ বিক্রেতাদের পক্ষে অবস্থান নেন নিপুন সাহা।
ওই ঘটনার পরদিন শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ২০-২৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিপুন সাহাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত নিপুন সাহাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
নিপুন সাহার মা কাজল রানী সাহার ভাষ্যমতে, ঘটনার রাতে পৌরসভা পাড়ার ভাড়া বাসা থেকে রাস্তায় বের হয়ে ২০-২৫ জন দুর্বৃত্তকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখেন। কাজল রানী এ সময় চিৎকার দিলে নিপুন সাহা ঘর থেকে বের হলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধাওয়া করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে জখম করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান আহত নিপুন সাহার মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঘটনার দিন নিপুন সাহার পরিবারকে মামলা করার কথা বলা হলেও করেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়েছিল চিকিৎসা শেষে ফিরে এসে মামলা করবে। দুটি ঘটনায় হামলাকারীদের শনাক্ত ও তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
Web Design & Development:
