লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসিবুল ইসলাম (২২) নামে আহত বাংলাদেশি যুবক মারা গেছেন। বুধবার রাত ৮টায় ভারতের কোচবিহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিন বেলা পৌনে ১টার দিকে তাকে গুলি করে বিএসএফ। নিহত হাসিবুল ইসলাম সিংগীমারী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে দুপুরে বিএসএফ হাসিবুলকে গুলি ও নির্যাতন করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করে স্থানীয় গ্রামবাসী। পরে তাকে বিজিবির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিজিবি, থানা-পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার সিংগীমারী সীমান্তের উভয় দেশের (ভারত-বাংলাদেশ) ৮৯৪ নম্বর প্রধান ও ৬ নম্বর উপপিলারের নিকটবর্তী এলাকায় ঘাস কাটতে যান হাসিবুল। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। গুলি লেগে হাসিবুল মাটিতে পড়ে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে রাইফেলের বাঁট ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মেরে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসিবুলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে সেখানে মারা যান হাসিবুল।
হাসিবুলের প্রতিবেশী প্রত্যক্ষদর্শী শাহ আলম বলেন, সে (হাসিবুল) পাঁচ দিন আগে ঢাকা বাড়িতে এসেছে। সে কোনো চোরাকারবারি না। ঘাস কাটার সময় বিএসএফ গুলি করেছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী বলেন, গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি যুবক ভারতের কোচবিহারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জেনেছি।
এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে, খুদেবার্তা দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।