১. কীর্তনখোলা
কীর্তনখোলার রুপোলি জল সোনালি মেঘের ভিরে
ছলছল করে তীরে এসে ছুটে…
সদ্য হেঁটে আসা দুষ্টু মেয়ের চুলের ঢেউ খেলে
দিগন্তজুড়ে মেঘ, রঙধনু রঙে দুপুরের রোদ
আড়া-আড়িভাবে ছড়িয়ে পড়ছে শান্ত নদীর বুকে…
পুরো নদীজুড়ে সোনারঙের আলপনা আঁকা,
হীরার নোলকে সেজেছে নতুন বউয়ের সাজে!
একবুক ভালোবাসা, দু’চারটা গাঙচিল ছবির মতো…
বালিকার পায়ের নুপুরের শব্দে ঢেউ…
অপলক দাঁড়িয়ে থাকে অবেলায় অচেনা কেউ।
২. জানালার এ পাশে মেঘ
জানালার এ পাশে মেঘ, ও পাশে নদী-
প্রেমিক হয়ে যদি নামি,
নদী পেড়িয়ে একটা একটা মেঘ পায়ে হেঁটে
নদীর মতো প্রেমিকার নাভিমূল থেকে,
ত্রিভুজ আকৃতির লোমকূপ বেয়ে ও জলে স্নান করব,
তৃষ্ণা মিটিয়ে ঝরনা জলে সাঁতার কাটতে কাটতে হারিয়ে যাব।
নেশাতু হু হু করতে করতে স্বর্গের সিঁড়ি বেয়ে নামব!
এলেমেলো মতাল খেলায়, দুষ্টুমি করব পাগল সেজে।
পদ্মফুলের মতো ‘ঠোঁটযুগল’ থেকে
দাঁতের চিবুকের সরুপথ ধরে পাহাড় ছুঁয়ে,
নুয়ে পড়ব অদ্ভুত ঘ্রাণে..
অক্টোপাসের মতো পুরো শরীর শুদ্ধ ছড়িয়ে পরব দশটি আঙুল,
দশকোটি অনুভূতিরা মিশে থেমে যাবে রাতের জোছনা,
কুয়াশারা ঢেকে দিবে চাদরে।