স্বামীর গোপনাঙ্গ কর্তন, পরে থানায় বিষপানে নারীর মৃত্যু, ৩ পুলিশ বরখাস্ত

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ঘন্টা আগে

ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেন ফিরোজা আশরাফী। পরে নিজেই তাকে নিয়ে যান এভারকেয়ার হাসপাতালে। এরপর রাজধানীর ভাটারা থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ফিরোজা আশরাফী (২৭) নামের এক নারী বিষ পান করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ভাটারা থানার তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই (নিরস্ত্র) জামাল হোসেন, নারী কনস্টেবল শারমিন ও নাছিমা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজা আশরাফীর সঙ্গে স্বামী ইসমাইল সুজনের দাম্পত্য কলহ চলছিল। ফিরোজা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় থাকতেন, আর তাঁর স্বামী থাকতেন পল্লবীতে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেন আশরাফী। পরে নিজেই তাঁকে নিয়ে যান এভারকেয়ার হাসপাতালে।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে ওই নারীর স্বামীর আত্মীয়স্বজন তাঁকে আটক করে ৯৯৯-এ ফোন দেন। ঘটনাটি মিরপুর এলাকায় হওয়ায় পল্লবী থানা থেকেও ওই নারীকে আটক করার জন্য বার্তা পাঠানো হয়।

ওসি আরও বলেন, পরে ভাটারা থানা-পুলিশের একটি দল হাসপাতাল থেকে ওই নারীকে আটক করে নিয়ে আসে। ঘটনাটি ভাটারা থানায় না হওয়ায় ওই নারীকে হাজতে না রেখে থানার নারী ও শিশু ডেস্কের সামনে রাখা হয়। সেখানে দুই নারী কনস্টেবলকে পাহারায় রাখা হয়। কিন্তু একসময় সেখানে বসা অবস্থায় ওষুধের কথা বলে কৌশলে নিজের কাছে থাকা বিষ পানের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে নেওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। পরে গতকাল রাতে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, ওই নারী ও তার স্বামী দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে কলহ চলছিল।

  • থানা
  • নারী
  • পুলিশ
  • বরখাস্ত
  • বিষপান
  • মৃত্যু
  • #