১.বেলুন
বেলুন! চিনতে পারো, নীলার্দ্র দ্রাঘিমারেখায়
কার কষ্ট-হাহাকারে এতটা গর্বিত
নতমুখ, দিগন্ত প্রসারী লাশ, শিশিরাভ!
শুকনো ঘাসের হলুদ এত রকমারি হতে পারে
বদ্ধ গহ্বরে, মাটির কুসুমগুলো বাকরুদ্ধপ্রায়
রাবারের পাতলা প্রলেপে একটা ইতিহাস ধরা
বহু দুঃখে, বিলাপের সঞ্চয়ে অহমিকা,
বেশুমার বঞ্চনা আগলে…দূরে তার চিহ্নপাত…
মেঘের কোল ঘেষে অজানার দিকে এই
একাকী উড়াল
এই ফুসফুস, উড়ন্ত ঝোলার আকৃতি!
বুকপিঞ্জরে থাকা যত স্মৃতি, বৃথা আর্তনাদ!
হরিণীমুখের ঘ্রাণ মুহূর্তবিলীন, মহাকাশে!
দাঁতে পেষা পাতার মর্জিতে গূঢ় মধুরতা?
আমাকে একাকী রেখে, রকমারি আনন্দে
উড্ডীন
নির্দয়া! এ-পৃথিবী তাকে পাবে না কি, পাবে?
রাঙা পেট, অশ্রুভেজা দীর্ঘশ্বাসে এত ফোলা!
পাখিরা অবাক: এত রক্ত এলো কোথা থেকে!
স্বচ্ছ ঐ ঝিল্লি ভরা মৃত্যুভেজা কত কথকতা!
২. পেইন্টিং
বেহালা খুব নাজুক বেলা পার
গার্বেজে নীল সংগীতের আহার
আঙুলচাবি ঘি’র বোতলে কাৎ
বিনা সুরে অসুরের সংঘাত
জল ভেজানো দিগন্ত নয় রাগী
সময় কাতর, অসময়ের ভাগী
ছাপানো বই পানির নিচে প্রেস
মাছেরা ঠিক এসেই বলে, বেশ
একটু ঘোলায় স্বচ্ছতার বিনাশ
আঁকার পরে চিত্র দাবি কার
একদিকে মেঘ এক পাড়ে পাহাড়
নষ্ট করা আঁধারে দুষ্টুমি
অস্তাচলের তুলিতে লাল ভূমি
রক্তভেজা পাতলা কাগজখানি
খুললে ঘাতক, বেদনা রাজধানী
রূপ বদলের হিড়িক পড়া ভয়
ইঞ্জিনে তেল আগুন পরিচয়
ছবিতে কার সর্বনাশা হাত
লবণ চুয়ে ফেনার মতো রাত!