নাটোরের বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আটজন নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক মো. মহির উদ্দিনকে ( ৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মহিরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্প থেকে জানানো হয়।
মহির নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে। এর আগে বিকেলে অজ্ঞাতনামা ট্রাক ড্রাইভারকে আসামি করে মামলা করে নিহত ইতি খাতুনের পরিবারের সদস্য নজরুল ইসলাম।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন জানান, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহতের ঘটনায় এক নিহত ব্যক্তির স্বজন অজ্ঞাতনামা চালককে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের উচ্চতর পর্যায় থেকে ট্রাকের চালককে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নাটোরের বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের সাতজন নিহতরা হলেন- ইতি খাতুন (৪০), জাহিদুল ইসলাম (৬৫), সেলি বেগম (৬০), আঞ্জুমানয়ারা (৭৫), আন্না খাতুন (৬০), আনু বেগম (৫৫) ও সীমা খাতুন (৩৫)। নিহতদের মধ্যে সীমা খাতুনের বাড়ি কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে। অন্য ৭জনের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামে। তাছাড়া এ দুর্ঘটনায় মাইক্রোচালক সাহাবুদ্দিন (৩৫) প্রাণ হারিয়েছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ট্রাকচালকের বিষয়ে খোঁজ শুরু করে। চালকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর সন্ধানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে গোপন সূত্রের তথ্যমতে নাটোর সদরের বামনডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালিয়ে চালক মহিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এক পরিবারের সাতজনসহ আটজন নিহত হয়। তাদের সবার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ ও প্রাগপুর গ্রামে।