অনলাইনে কাজের কথা বলে নারীকে ডেকে এনে গণধর্ষণ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৭ ঘন্টা আগে
প্রতীকী ছবি

ঢাকার ডেমরায় কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্নে ৩২ বছর বয়সি এক নারীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ধর্ষণের পর নারীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে বিকাশের মাধ্যমে ৩১ হাজার টাকা আদায়সহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা।

এ ঘটনায় শনিবার (২ আগস্ট) ভুক্তভোগী ওই নারী অজ্ঞাতনামা ৪ পুরুষসহ সুমি ওরফে সিমা (২২) নামে প্রতারক এক যুবতির বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা করেন। গত ১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) মিরপুর থেকে অনলাইনে কাজের কথা বলে ডেকে এনে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে ধর্ষকরা। বর্তমানে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।

এদিকে শনিবার রাতেই ওই নারীকে ঢামেকের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসার জন্য পাঠায় পুলিশ।

ভুক্তভোগীর বরাতে এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, পূর্বপরিচিত সিমা ধর্ষিত ওই নারীকে ফোন করে অনলাইনে একটি কাজের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে গত ১ আগস্ট দুপুরে অজ্ঞাত একজন মোবাইলে কল করে ভুক্তভোগীকে অনলাইনে কাজের জন্য স্টাফ কোয়ার্টার ডেকে আনেন। বিকালেই স্টাফ কোয়ার্টার পৌঁছালে অজ্ঞাত ব্যক্তি হোটেলে খাবার খাওয়ায় ধর্ষিতাকে। পরে কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন একটি ভবনের দ্বোতলায় নিয়ে যাওয়া হয় নারীকে যেখানে আরও তিনজন অপেক্ষামান ছিলেন যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে।

ওসি আরও জানায়, দ্বোতলায় নেওয়ার পর কাজের ধরন হিসেবে নারীকে বলা হয় সর্ট ভিডিওতে ধর্ষণের অভিনয় করতে। এক্ষেত্রে সরল বিশ্বাসে নির্দেশনা অনুযায়ী ওই নারী মাথার চুল এলোমেলো করতেই তার হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চারজন। ওই দিন বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্ষণ করা হয় ওই নারীকে।

পরে মুক্তিপণ হিসেবে নারী ও তার মায়ের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায়সহ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের এন্ড্রয়েট ফোন ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা। ওই রাতেই ভুক্তভোগীকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হত্যার হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং অভিযুক্তদের সনাক্তসহ গ্রেফতারের অভিযান চলমান আছে বলেও জানান ওসি।

  • গণধর্ষণ
  • নারী
  • #