বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা বইয়ে আগুন, অতঃপর

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ঘন্টা আগে

ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গ্রন্থাগারে ঢুকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা বইয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। বুধবারের এ ঘটনায় ‘জড়িতরা’ বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তারা আজ এসে শিক্ষকদের কাছে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন।ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ মাঠে বেশ কিছু বই স্তুপ হয়ে পড়ে আছে এবং ধোঁয়া উড়ছে।

সেখানে একজনকে আশপাশের ব্যক্তিদের উদ্দেশ করে বলতে শোনা যায়, হাসিনার জন্য জেল খেটেছি, হাসিনার বই, বঙ্গবন্ধুর বই পুড়ে ফেলব। আপনারা এত উত্তেজিত কেন।

ঘটনাস্থলে থাকা ওই কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তুহিন বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পরেও সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ভবন উদ্বোধন ফলকগুলো আছে। এগুলো কলেজ কর্তৃপক্ষ সরায়নি। পরে আমাদের কর্মীরা সেসব খুলে ফেলে। বুধবার আমরা কয়েকজন গ্রন্থাগারে গিয়ে বসে কথা বলার সময় চোখে পড়ে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের বাবা শেখ মুজিবের বেশ কিছু বই। পরে সেসব বই এখনও থাকার কারণ জানতে চাইলে লাইব্রেরিয়ান আমার কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে অধ্যক্ষকে ফোন দিলে তিনি ধরেননি।

তার দাবি, লাইব্রেরিয়ানের খারাপ আচরণের কারণে তারা লাইব্রেরি থেকে বইগুলো নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যান। কিন্তু অধ্যক্ষ তখন মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় বইগুলো মাঠে এনে রাখা হয়। এসময় আমাদের সংগঠনের কেউ নয়- এমন একজন আমাদের ওপর দায় চাপাতে বইয়ে আগুন দেয়।

অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, প্রায় ৩৫জন শিক্ষককে নিয়ে মিটিং চলাকালীন তুহিন ফোন দিয়েছিলেন। কিন্ত ব্যস্ত থাকায় ধরা সম্ভব হয়নি। পরে মিটিংয়ের মধ্যে লাইব্রেরিয়ান দৌড়ে এসে কিছু ছেলের লাইব্রেরি থেকে বই বের করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। মিটিং থেকে বের হয়ে দেখি, মাঠে বইয়ের স্তূপ। এসময় অন্যান্য শিক্ষকও ছিলেন। শিক্ষার্থীদের একজন শিক্ষকদের দিকে হাত উচিয়ে কথা বললে এক শিক্ষক তার প্রতিবাদ করেন। পরে অপর এক শিক্ষক উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা তুহিন বলেন, আমরা সরি বলেছি।

  • আগুন
  • বই
  • বঙ্গবন্ধু
  • শেখ হাসিনা
  • #