শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থীসহ ইবির ৬১ জনকে শোকজ

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৫৩ minutes ago

গত বছরের জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকা রাখার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে ১৯ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানের সময় যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিরোধী ভূমিকায় ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ১৯ জন শিক্ষক, ৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৩১ জন শিক্ষার্থীর নাম উঠে এসেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শোকজ করা ১৯ জন শিক্ষক হলেন ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ব্যবস্থপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, আইসিটির অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ও অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ও অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া রাসিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম জিল্লু ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, অর্থনীতির অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জয়শ্রী সেন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, আল ফিকহ অ্যান্ড ল’ বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ভূমিকা রাখা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে কমিটি সময় বাড়িয়ে গত ১৩ আগস্ট উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

  • ইবি
  • কর্মকর্তা
  • শিক্ষক
  • শিক্ষার্থী
  • শোকজ
  • #