চাঁদপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজম খানের বাড়িতে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর, বাস ও প্রাইভেট কার ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এই হামলার পেছনে জেলা বিএনপি জড়িত বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নেতা।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চিত্রলেখার মোড় সংলগ্ন সিংহপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বিকেলে হাসান আলী মাঠ থেকে শহরে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ওই কর্মসূচি পণ্ড করতেই এই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা আজম খান।
আজম খানের সমর্থিত তুষার খান জানান, তাদের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শেখ নয়ন ও মোহাম্মদ আলীমসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের কয়েকজনকে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুপুরের পর সভা আসতে বাবুরহাটে বাঁধা দেয়া ও চারটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে করেন আজম খান। এ সময় তিনি জানান, কিছু কিশোর-যুবক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হঠাৎ করে দুই দফা বাড়িতে হামলা করে। তারা ভাঙচুর করে বাড়ির ভেতরের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিস। এ সময় অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
তিনি দাবি করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সেলিমউল্লাহ তারা দুই দফা মিটিং করে ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু নেতা–কর্মীদের দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। তার বাড়িতে ও আজকে বিভিন্ন স্থানে হালমার ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই থানা-পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।