বৃহস্পতিবার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ঘন্টা আগে

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সংগঠন জুবায়ের আহমেদ।

কর্মসূচি ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর শাহবাগে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি শাহবাগে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সেখানে শুরুতে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের এম ওয়ালীউল্লাহ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিন দফা দাবি নিয়ে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে। জনদুর্ভোগ চিন্তা করে আমরা মাঠের কর্মসূচিতে যাচ্ছি না।

এরপর জুবায়ের আহমেদ পুনরায় আরেকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।  সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করা হল। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে রাত পৌনে ১১টার দিকে শাহবাগ ছেড়ে যান আন্দোলনরত বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেওয়ার আগে তারা পরবর্তীতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মসূচি পালন না করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রেল ভবনে সরকারের দুই উপদেষ্টার সঙ্গে চলমান আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে (প্রথমে তিন দফা ও পরে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার পর ঘোষণা করা পাঁচ দফা) শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আগের কয়েকদিনের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, যার নেতৃত্বে ছিল বুয়েট। আগের দিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা অবধি চলা কর্মসূচির পর দ্বিতীয় দিনে তাদের শাহবাগে অবস্থানের কারণে পুরো এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভের মধ্যে দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাত্রা শুরু করলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়।

এ সময় লাঠিপেটা, জল কামান, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্তি থেকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র ও পুলিশ সদস্য আহত হন। ছাত্রদের উপর পুলিশের হামলা ও লাঠিচার্জের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনামুখর হন নেটিজেনরা। সংঘর্ষের পর আবার শাহবাগে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর বিকাল ৫টার দিকে বিফ্রিং করে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ক্ষমা চাওয়ার দাবিসহ পাঁচ দাবি দেয় তারা। তা না হলে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় তাদের তরফে। পরে রেলভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দুই উপদেষ্টা।

  • কমপ্লিট শাটডাউন
  • ঘোষণা
  • প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
  • #