৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সংস্করণ:
হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধের পর ব্যাংক এবং ট্রেজারি ভবনে তালা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে জব্বারের মোড় রেলপথ অবরোধ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পূবালী ব্যাংকের শাখা এবং ট্রেজারি ভবনে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় কর্মকর্তারা কর্মচারীদের বের হওয়ার জন্য ১০ মিনিট সময় দেন।
এর আগে, দুপুর ১২টা থেকে জব্বারের মোড় ঢাকা ময়মনসিংহ রুটে রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দলের সদস্য পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এএইচ এম হিমেল বলেন, ‘গতকাল সোমবার সকালে আমরা ছয় দফার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো সাড়া নেই। তাই বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে রেলপথ অবরোধের পর ব্যাংক এবং ট্রেজারি ভবনে তালা দিয়েছি। কারণ আমাদের আন্দোলনে রেখে কোনো কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, কোষাধ্যক্ষ কার্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেখানে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীরা আমাদের বের করে দিয়েছে। এতে করে সকলকে খুব সমস্যায় পড়তে হবে। শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে যেমন আচার-আচরণ করছে তা অপ্রত্যাশিত। তাঁরা ১০ ঘণ্টা বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মর্মাহত। তার পর বহিরাগতদের হামলা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ। আন্দোলনের বিষয়টি এখন আমাদের হাতে নেই। জেলা প্রশাসন দেখছে। তবে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বসতে পারে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসা হবে কিনা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে শিক্ষার্থীরা যা করছে তা ভুল করছে, আমরা চাই তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক।
ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশু পালন অনুষদের ডিগ্রিকে একীভূত করে একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেওয়ার দাবিতে ২৫১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে রোববার দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতরা হামলা করে শিক্ষার্থীদের ওপর। এ পরিস্থিতিতে রোববার রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
Web Design & Development:
