কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই ১৭ জন পেশাদার সাংবাদিকের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ ও ডিইউজের সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, হঠাৎ করেই মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী ১৭ জন পেশাদার সাংবাদিকের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ অপ্রত্যাশিত।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের ১৮ নভেম্বর ৩৭ জন সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে সাবেক তিনজন সভাপতিসহ সাধারণ সম্পাদকের। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় পাঁচজন সিনিয়র সাংবাদিকের ওপর। পরে আরও সাতজনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর আরও ৩৭ জনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্ব-নোটিশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে একের পর এক সদস্যপদ স্থগিতের ঘটনা নজিরবিহীন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সামনে জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বাইরে রেখে একতরফা নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করতেই তাঁদের সদস্যপদ স্থগিত করা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ ধরনের ঘটনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্য প্রশ্নবিদ্ধ করা হলো।
বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতারা বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি নিজেরা প্রশ্নবিদ্ধ বলেই সংগঠনকেও বারবার তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করছে। সাংবাদিকদের মধ্যে নানা বিষয়েই মতপার্থক্য থাকতে পারে। তাই বলে কাউকে নিজেদের প্রতিপক্ষ ভেবে প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত করা দুর্ভাগ্যজনক।
জাতীয় প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও সুনাম সমুন্নত রাখতে অবিলম্বে পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যপদের ওপর চাপানো স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে।