রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৬ ঘন্টা আগে

রাজশাহীর পবা উপজেলায় খানকা শরিফে হামলা ও ভাঙচুর করেছে একদল লোক। শুক্রবার উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান ভান্ডারি প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়ির পাশে নিজের জমিতে ওই খানকা শরিফ তৈরি করেন। তিনি তাঁর ভক্তদের কাছে ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ওই খানকায় তিন দিনের আয়োজন ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আয়োজন শুরু হয়। সেখানে শিল্পীরা আসছিলেন, ভান্ডারি ও মুর্শিদী গান হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল।

স্থানীয় আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি প্রায় ১৫ বছর আগে পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে ‘হক বাবা গাউছুল আজম মাইজ ভাণ্ডারি গাউছিয়া পাক দরবার শরীফ’ নামের খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার অনুসারীদের কাছে ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এখানেই ঈদে মিল্লাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়।

আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কিছু লোক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে চাপ দিচ্ছিল। গত রাতে তারা পবা থানায়ও গিয়েছিল। জুমার নামাজের পর তারা একত্রিত হয়ে খানকায় হামলা চালায়।’

হামলার আশঙ্কায় ওইদিন খানকা এলাকায় দুই গাড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলামও ঘটনাস্থলে ছিলেন। তবে হামলার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও জনতাকে থামাতে পারেনি।
হামলার ভিডিওতে দেখা যায়, দেড় শতাধিক মুসল্লি টিন দিয়ে ঘেরা খানকায় হামলা চালাচ্ছে।

ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ এত বেশি ছিল যে অল্পসংখ্যক পুলিশ দিয়ে কিছু করা সম্ভব হয়নি। এখন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আজিজুর রহমান ভাণ্ডারি বলেন, ‘আমি বের হইনি।ভক্তরা আমাকে বাড়িতে রেখেছে। হামলাকারীরা আমার বাড়িতেও ইট-পাটকেল ছুড়েছে।’

তবে তিনি থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যেখানে পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকেও কিছু করতে পারেনি, সেখানে অভিযোগ করব কার কাছে? আমি মানবধর্ম করি, সবাইকে মাফ করে দিলাম। আল্লাহও যেন তাদের মাফ করে দেন।’

ভাণ্ডারি দাবি করেন, ইউপির সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গতরাতে থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু হামলার সময় ছিলাম না।’

পবা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, ‘খানকা ভাঙার দরকার কী? যার যেটা বিশ্বাস, সে সেটা করবে। বিএনপি হলেও ছাড় নেই।’

জামায়াতে ইসলামীর পবা উপজেলার আমির আযম আলীও দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ হামলায় যায়নি।’

  • খানকা শরিফ
  • পবা
  • ভাঙচুর
  • রাজশাহী
  • হামলা
  • #