নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের একদিন পর গণি মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের গলা ও হাত বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে ঘোড়াশাল টানস্টেশনের রেললাইনের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত গণি মিয়া ঘোড়াশাল আঁটিয়াগাও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি তিন মাস আগে প্রবাস থেকে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানায়, গতকাল রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন গণি মিয়া। পরে তার কোনো খোঁজ না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়। পরদিন সকালে ঘোড়াশাল টানস্টেশনের পাশে এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকার খবর শুনে পরিবারের লোকজন এসে গণি মিয়ার গলা ও হাত বিচ্ছিন্ন মরদেহটি দেখতে পায়।
নিহতের বড় ভাই মনির হোসেন বলেন, গতকাল রাত পৌনে ১০টায় ওর পরিবার আমাকে ফোন করে গনির নিখোঁজ হওয়ার খবর জানায়। পরে আমি তার বাসায় যাই। সবাইকে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করি। এক পর্যায়ে ঘোড়াশাল ফাঁড়ি পুলিশকে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু তাকে না পেয়ে সর্বশেষ পলাশ থানায় জিডি করি।
সকালে পুলিশ জানায়— তার লাশ ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের পাশে পড়ে আছে। গতকালকে রাত সাড়ে সাতটা থেকে তার ফোন বন্ধ। পরে রাত সাড়ে দশটায় একবার খুলে আবার বন্ধ করে ফেলেছে। আজকে ভোর পাঁচটায় খুলছে, পরে আবার বন্ধ। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নরসিংদী রেলওয়ের পুলিশ পরিদর্শক নাজিমুদ্দিন জানান, নিহতের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর জানা যাবে।