ভাঙ্গায় ভ্যান চরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরো ২৫ জন। রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম জাকু মাতুব্বর (৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে। ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে একটি সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
এদের মধ্যে জাকু মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে আহত দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোনাখোলা গ্রামের মাতুব্বর ও খান গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। খান পক্ষের নেতৃত্ব দেন সোনাখোলা গ্রামের শাজাহান খান (৬৫) ও মাতুব্বর পক্ষের নেতৃত্ব দেন বাদশা মাতুব্বর (৬৫)।
একটি ভ্যানগাড়ি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সোনাখোলা গ্রামের শাজাহান খানের বাড়ির পাশে সড়কে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর দুইপক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
নিহত জাকু মাতুব্বরের ভাতিজা বিপ্লব মাতুব্বর বলেন, খান গোষ্ঠীর একজন চার-পাঁচ দিন আগে আলগী ইউনিয়নের নলিয়া গ্রাম থেকে একটি ভ্যান চুরি করে। ভ্যান মালিকসহ ওই গ্রামের লোকজন আমাদের গ্রামের মুরুব্বিদের কাছে বিচার দেয়।
রবিবার বিচার চলাকালে খান গোষ্ঠীর লোকজন আমাদের মাতুব্বর গোষ্ঠীর লোকজনের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় আমার চাচা জাকু মাতুব্বরকে ইট দিয়ে বুকে আঘাত করে ও মারপিট করে। এতে আমার চাচার মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ওই গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ আইনশৃ্ঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ওই গ্রামে কাজ করছে।