দিনাজপুরের ফুলবাড়ী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দারা। আজ শুক্রবার খনির পূর্ব পাশে ৯ নম্বর হামিদপুর ইউনিয়নের হামিদপুর মোড়ে লাঠিমিছিল ও সমাবেশ করেন তাঁরা। বাঁশপুকুর কাজীপাড়া থেকে মিছিলটি হামিদপুর, চৌহাটি প্রদক্ষিণ করে চৌহাটি গ্রামে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটি এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে চৌহাটি ও বাঁশপুকুর গ্রামের কয়েক শ নারী-পুরুষ লাঠি হাতে অংশ নেন।
এ সময় মূল মালিকদের কাছ থেকে সরাসরি জমি অধিগ্রহণ, অধিগ্রহণ সম্পন্ন না করা পর্যন্ত জমিতে কোনো রকম জরিপ, স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও ক্ষতিপূরণসহ পাঁচ দফা দাবি জানান।
কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সহসভাপতি মাহমুদুন্নবী মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কৃষি ও বসতবাড়ি রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালমান মাহমুদ এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম তানজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মিলন পারভেজ প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা জানান, পাঁচ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে ভূগর্ভে কয়লা তোলার সময় বিস্ফোরক ব্যবহারের কারণে সব ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রদান, সিআরএস ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সুপেয় পানির সংকট দূর করা।
তাঁরা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বহিরাগতদের অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে হবে, জমির মূল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, সেই সঙ্গে জমি অধিগ্রহণে খনি কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।