শান্তিতে নোবেলজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো ইসরায়েলপন্থি!

: বিশ্বপরিস্থিতি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ঘন্টা আগে

চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার দীর্ঘ সংগ্রাম ও নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ সম্মাননা দিয়েছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। তবে মাচাদোর নোবেল জয়কে ঘিরে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সাক্ষাৎকারগুলোতে দেখা গেছে, তিনি ইসরায়েলের বড় সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

এদিকে, পুরস্কার প্রাপ্তির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)–এ দেওয়া এক বার্তায় মাচাদো লেখেন, আমি এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি ভেনেজুয়েলার যন্ত্রণাক্লিষ্ট জনগণের উদ্দেশে, যারা স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। একই সঙ্গে উৎসর্গ করছি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, যিনি আমাদের আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে পাশে ছিলেন। মাচাদো আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে শক্তি দিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়

ইসরায়েলি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচাদো বলেন, ভেনেজুয়েলা ও ইসরায়েলের মধ্যে গভীর সম্পর্ক স্থাপন হবে—আমি এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমাদের সরকার ইসরাইলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করবে, এটি ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের সমর্থনের প্রতীক হবে।

ভেনেজুয়েলান সংবাদমাধ্যম ভেনেজুয়েলান ভয়েস জানিয়েছে, তার দল ভেন্তে ভেনেজুয়েলা সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টির সঙ্গে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর মাচাদো প্রকাশ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তিনি গাজা যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

 

  • ই’সরায়েলপন্থি
  • নোবেলজয়ী
  • মারিয়া কোরিনা মাচাদো
  • শান্তি
  • #