শিক্ষাবিদ শায়েস্তা খান মারা গেছেন

:
প্রকাশ: ১৩ ঘন্টা আগে

শিক্ষাবিদ, ক্রীড়া সংগঠক অধ্যাপক শায়েস্তা খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। বাদ আসর নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিসকিন শাহ মাজারসংলগ্ন কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

অধ্যাপক শায়েস্তা খান দীর্ঘদিন ধরে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চট্টগ্রামে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

শায়েস্তা খানের আদি নিবাস চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ের হায়দার আলী নাজিরবাড়ি। তাঁর বাবা প্রয়াত আজিজ উল্লাহ খান এবং মা প্রয়াত মোহসেনা বেগম। নগরের আলকরনে ১৯৪৫ সালের ১০ জুন জন্মগ্রহণ করেন শায়েস্তা খান। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও সরকারি কমার্স কলেজের ছাত্র ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ষাটের দশকে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম শীর্ষ ছাত্রনেতা ছিলেন তিনি। গণঅভ্যুত্থানসহ তৎকালীন রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

অধ্যাপক শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ, ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯৬১-৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৩-৬৪ সালে একই কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সাংঠনিক কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার আমৃত্যু সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০১ সালে তাঁকে বর্ষসেরা ক্রীড়া সংগঠক নির্বাচিত করে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই ‘দৈনিক মিছিল’ নামে একটি পত্রিকাও বের করেন।

তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কনসার্ন সার্ভিসেস ফর ডিসঅ্যাবেলডের (সিএসডি) সভাপতি অধ্যাপক শায়েস্তা খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন সিএসডির প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন, উপদেষ্টা অধ্যাপক শিশির বড়ুয়া, অধ্যাপক অঞ্জন কুমার চৌধুরী, অধ্যাপক কাজী সুলতানাসহ অনেকেই।

  • শায়েস্তা খান
  • শিক্ষাবিদ
  • #