দুই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ফোন চেক করার অভিযোগ ঢাবি ছাত্রের

: যথাসময় ডেস্ক
প্রকাশ: ৫ দিন আগে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন চেক করে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের (সিএসই) শিক্ষার্থী আবির হাসান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুইজন ছাত্র প্রতিনিধিসহ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে প্রক্টর অফিসে আবির হাসান এ অভিযোগ দায়ের করেন।

আবির হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রক্টর অফিসে ২ জন প্রক্টর শিক্ষক আধা ঘণ্টা ধরে আমার ব্যক্তিগত ফোন চেক করে, আমার রাজনৈতিক পরিচয় বের করার চেষ্টা করেন। যেটা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন। আমি যদি সঠিক বিচার না পাই, তাহলে আমি রাষ্ট্রীয় অন্যান্য আইনের দ্বারস্থ হব। আমি হাইকোর্টে যাব। আমাকে কি সন্ত্রাসী মনে হয়? আমি এখানকার শিক্ষার্থী।

আবির হাসান আরও বলেন, আমি সদস্য পদে নির্বাচন করে তিন হাজার ভোট পেয়েছি। মোটামুটি সবাই চেনে, ক্যাম্পাসে অ্যাক্টিভিজম করি। তিনি (সহকারী প্রক্টর) কক্ষে ঢুকে জানতে চাইলেন, তোমাকে তো চিনি, তোমার রাজনৈতিক পরিচয় কী? তোমার ফোনটা দাও দেখি। ফলে তিনি তো আমার রাজনৈতিক পরিচয়ও জানার চেষ্টা করেছিল। শাহবাগে প্রবেশপথে চেক করার সময় তার সঙ্গে প্রক্টরিয়াল টিমের ঝামেলা হয়। পরে তাকে প্রক্টর অফিসে আনার পর এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাত আনুমানিক ৭টা ৪০ মিনিটে শাহবাগ চেকপোস্টে প্রবেশের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায় এবং তার কাছ থেকে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন যে, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন দুইজন সহকারী প্রক্টর পরীক্ষা করেন।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সত্যতা যাচাই ও অনুসন্ধানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একটি চার সদস্যবিশিষ্ট সত্যানুসন্ধান তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এবং সদস্য হিসেবে সহকারী প্রক্টর ড. এ কে এম নূর আলম সিদ্দিকী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাকিবুর রহমান রনি এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নূমান আহমেদ চৌধুরীকে রাখা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, কমিটির প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।

  • অভিযোগ
  • চেক
  • ঢাবি ছাত্র
  • ব্যক্তিগত ফোন
  • সহকারী প্রক্টর
  • #