বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ‘বাংলার পার্টিশন কথা : একটি জন গবেষণা প্রকল্পের খোঁজ’ গ্রন্থ আলোচনা অধিবেশন গতকাল বুধবার (০৮ মে ) বাউবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হিউম্যানিটিজের ডিরেক্টর অধ্যাপক মনন কুমার মণ্ডল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘বাংলার পার্টিশন‘ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মূলত ১৯৪৭ সালে পার্টিশনের সময়ই আজকের বাংলাদেশের বীজ বপণ হয়। একাত্তরে এ স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিল। দুই বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উদ্বাস্তু মানুষদের অভিজ্ঞতার বয়ান আমি দিনের পর দিন লিপিবদ্ধ করেছি। কিন্তু ইতিহাসের অনেক তথ্য উপাত্ত আমরা হারিয়ে ফেলেছি । ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগ এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের জনমানুষের স্মৃতি সংগ্রহ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলার সাধারণ মানুষের ১২০০ সাক্ষাৎকার এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে। সেইসব সাক্ষাৎকারের ভিডিও, অডিও, বয়ান, তথ্য উপাত্ত সংরক্ষিত আছে এটাই গ্রন্থটির শক্তি, উপজিব্য। ভিটে হারানো, দেশ হারানো মানুষ যারা আজও সেদিনের সম্মৃতি বহন করে চলেছেন সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৬ সালে এই গবেষণা কাজ শুরু হয়। বাংলার পার্টিশন এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি ডিজিটাল রিপোজিটরি তৈরি গবেষণার মূল উদ্দেশ্য
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীনের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় প্রধান অতিথি বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ কিংবা ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা , প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭ এর পার্টিশন, ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ- এই লড়াই ও অর্জনের প্রতিটি প্রত্যক্ষ সম্মুখ সাক্ষী, নমুনা ও কেস স্টাডির ঐতিহাসিক মূল্য ব্যাপক।
আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও বাউবির সামাজিক বিজ্ঞান ও ভাষা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানে শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাউবি রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলম। সঞ্চলনায় ছিলেন বাউবির ওপেন স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক মেহেরীন মুনজারিন রত্না।