গণ-অভ্যুত্থানের সময় চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা চারটিসহ পাঁচ নতুন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার দেখাতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের দুটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক কাইউম খান।
তিনি বলেন, ফতুল্লা থানার চারটি হত্যা মামলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা খাতুন এবং সদর থানার সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলার মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইমানাহ আক্তার মনির আদালতে এ শুনানি হয়।
এ সময় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অভিযুক্ত আইভী। গত বৃহস্পতিবার মামলাগুলোর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা পেছানো হয়।
গত ৯ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে ছয় মাস ধরে আইভী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দি। পরে আরও চারটি মামলায় তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখায় পুলিশ।
গত ৯ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আইভীকে পাঁচটি মামলায় জামিন দেন। ওই দিনই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করে।
পরদিন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আরও চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করে। তবে এ পাঁচ মামলার একটিতেও আইভী এজাহারনামীয় আসামি নন।
এদিকে পাঁচ মামলায় আইভীর জামিন গত বুধবার স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার আদালতে আইভীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আওলাদ হোসেন।
তিনি বলেন, এ মামলাগুলোতে আইভী আসামি নন; কোথাও তার নাম নেই। গ্রেপ্তার কোনো আসামিও ঘটনাগুলোর সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি। আইভী হাইকোর্টে পাঁচটি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন, শুধু তাঁর কারামুক্তি দেরি করতেই পুলিশ তড়িঘড়ি করে নতুন পাঁচটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করে।